গল্পগ্রন্থে স্থান পাওয়া প্রত্যেকটি গল্পই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। কোন গল্পে কিশোর তরুণ যুদ্ধের স্বরূপ চেনে, সে নিজে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য মানসিক শক্তি অর্জন করে, দেশপ্রেমের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক বোধ তৈরি হয়; কোন গল্পে সে নিজেই পালিয়ে গিয়ে যুদ্ধের ময়দানে হাজির হয়। কোন গল্পে কিশোরের বাবা-কাকা যুদ্ধে যায়, কোন গল্পে তারা ফিরে আসে আবার কোন গল্পে তারা ফিরে আসে না। কোন গল্পে মাত্র আড়াই বছরের ছোট শিশু পুতুল ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে তার বাবা মাকে হারিয়ে ফেলে অসহায় হয়ে যায়, আবার কোন গল্পে মিঠুর অধ্যাপক বাবাকে তার জন্মের রাত পেরিয়ে ভোর হতে না হতেই পাকিস্তানীদের হাতে নৃশংস হত্যার শিকার হতে হয়। কিশোরী তরুণীরাও মুক্তিযুদ্ধে নিস্ক্রিয় বসে থাকে না। তারাও নিজেদের সাধ্যমতো মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য-চিকিৎসা দিয়ে সাহায্য করে।

আমি বিশেষ করে আহসান হাবীব রচিত 'শহীদ মইন সড়ক' গল্পটির কথা বলতে চাই। মুক্তিযুদ্ধ শেষে এক কিশোর তরুণ রিক্সায় চড়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে শহীদ মইন সড়কে অবস্থিত আত্মীয় বাড়ি যায়। কিন্তু রিক্সাওয়ালা তার কাছ থেকে কোন ভাড়া নেয় না। কারণ শহীদ মইন সেই রিক্সাওয়ালার সন্তান। এই সড়কে যারা আসে তাদের কারও কাছ থেকে তিনি  রিক্সা ভাড়া নেন না।

কতিপয় রাজাকার আল বদর বাংলাদেশবিরোধী পরিবার বাদে এদেশের বেশিরভাগ পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত। প্রত্যেকটি পরিবার মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আবেগমাখানো এক অপরিসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অনুভব করে। ১৯৭১ পরবর্তী চল্লিশ বৎসরের বেশি সময় পরেও তাদের হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধ কিভাবে অনুরণিত হয়, তার একটি চিত্র অনুভব করা যায় আহসান হাবীব রচিত 'শহীদ মইন সড়ক' গল্পটিতে।

বিস্তারিত পড়ুন