দোমিনিক লাপিয়েরের বিখ্যাত উপন্যাস সিটি অফ জয় (City of Joy) অনেকেরই পড়া আছে। আজ আমরা পরিচিত হব তাঁর আরেকটি বিখ্যাত বই "সেই প্রেম"(Beyond Love) এর সাথে। ১৯৮০ সালের কোন একদিন দোমিনিক লাপিয়ের নিউ ইয়র্ক সিটির রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সংবাদ প্রতিবেদন তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করল। সংবাদে মাদার টেরেসার ম্যানহ্যাটানে একটি সেবায়তন উদ্বোধন করার কথা ছিল। লাপিয়ের তখনই গ্রীনউইচ ভিলেজের সেই হোমে গিয়ে উপস্থিত হলেন। মাদকসেবীদের জন্য স্থাপিত এই হোম দেখে তাঁর মন এক অপার্থিব অনুভূতিতে ভরে গেল। তিনি অভিভূত হলেন।

সেবায়তনের সেবক-সেবিকা, ডাক্তারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মানুষের প্রতি ভালবাসা দেখে তিনি এক ভিন্ন পথের নির্দেশনা পেলেন। শুরু করলেন গবেষণা। দীর্ঘ ৬ বৎসর তিনি ভারত, ফ্রান্স, ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে বেড়ালেন। প্রতিটি দেশের গবেষণাগার, হাসপাতাল ক্লিনিক পরিদর্শন করলেন। কথা বললেন গবেষক, ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের সাথে। এইডস রোগের ইতিহাস উদঘাটিত করার চেষ্টা করলেন।

বইয়ের ফ্লাপ থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি।
"এডস বিরোধী সংগ্রামের বিভিন্ন ফ্রন্টে যারা সফলতা পেয়েছেন তাঁদেরই কয়েকজনের আশা নিরাশা নিয়ে রচিত হয়েছে এই কাহিনী। এদের মধ্যে আছেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী মার্কিন বিজ্ঞানী, পরিহাস বিদ্রুপ তুচ্ছ করেও যিনি নিরলস গবেষণায় মগ্ন থেকেছেন এবং একই প্রজাতির এই হত্যাকারী ভাইরাসের আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দেন নি (অবশ্য সেদিন তাঁর সহযোগী বিজ্ঞানীরা ভাইরাস আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই প্রাণভয়ে চম্পট দিয়েছিল), তেমনি আছেন সেই অত্যুৎসাহী ফরাসী বিজ্ঞানী যিনি প্রাণপণ চেষ্টায় প্রতিপন্ন করতে চেয়েছিলেন যে এ ব্যধি শুধু 'সমকামী মড়ক নয়, আরও কিছু।' আর আছে সেই দু:সাহসী মার্কিন ডাক্তারের কাহিনী, যিনি অকুতোভয়ে রান্নাঘরের ফ্রিজারের মধ্যে মিঠাইয়ের বাক্সের গায়েই জমা করেছিলেন সংক্রমিত রিসার্চ টিসুগুলো।

বিস্তারিত