শিশু কিশোরদের লক্ষ্য করে তাদের উপযোগী সহজ সরল আবেগ মেশানো ভাষায় লেখা এই বইটি বেশ তথ্যবহুল। পড়তে গিয়ে কোনরকম হোঁচট খেতে হয়না। লেখক শামসুল হক সাবলীল ভঙ্গিতে বই পড়ার উপকারের কথা বলতে বলতে অনেক কথা বলে ফেলেছেন। বই এবং এই সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একের পর এক গল্প বলে গেছেন।
লেখক আন্তরিকভাবে 'তুমি' 'তোমরা' সর্বনাম ব্যবহার করে তার পাঠককে আপন করে নিয়েছেন। মোট পনেরোটি বই সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গল্পের ভঙ্গিতে তথ্যবহুল রচনা রয়েছে 'বই পড়া ভারী মজা' বইটিতে। প্রথম রচনার নামেই বইয়ের নামকরণ করা হয়েছে। কেন বই পড়া উচিত, বই পড়লে কি পাওয়া যায় ইত্যাদি নানারকম প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এই রচনাটিতে।
মোট পনেরোটি বই সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গল্পের ভঙ্গিতে তথ্যবহুল রচনা রয়েছে 'বই পড়া ভারী মজা' বইটিতে। প্রথম রচনার নামেই বইয়ের নামকরণ করা হয়েছে। কেন বই পড়া উচিত, বই পড়লে কি পাওয়া যায় ইত্যাদি নানারকম প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এই রচনাগুলোতে।
১৮৭৯ সালে স্পেনের 'আলতামিরা' গুহা আবিষ্কার করেছে পাঁচ বৎসর বয়ের ছোট্ট মেয়ে 'মারিয়া'। বাবার হাত ধরে গুহা ভ্রমণ করতে গিয়েছিল সেদিন। গুহার ছাদ নিচু হওয়ায় পিতা 'সাউটুওলা' মাথা নিচু করে হাঁটছিলেন, আর মেয়ে মারিয়া ছিল তার পাশেই। গুহার ছাদ ভর্তি করে প্রাচীন কালের মানুষেরা বিভিন্ন জীবজন্তুর ছবি এঁকেছিল। একটা 'ষাড়' দেখতে পেয়ে ছোট্ট মারিয়া চীৎকার করে উঠেছিল। পিতা মাথা উঁচু করে ছাদের দিকে তাকাতেই আবিষ্কৃত হয়ে গেল আদিম মানুষদের আঁকা সবচেয়ে বড় ছবির সংগ্রহশালা।
১৯৪০ সালে ফ্রান্সের লাসকো (Lascaux) গুহা আবিষ্কার হয়। এর দেয়াল ও ভেতরের সুরঙ্গের দেয়ালে অনেক ছবি অংকিত ছিল। আবিষ্কার করেছিল চার স্কুল ছাত্র কিশোর। উদ্দেশ্যহীনভাবে এদিক সেদিক ঘুরতে বেড়িয়ে তারা গুহাটি আবিষ্কার করে ফেলে। স্কুলের একজন শিক্ষক ক্লাশে প্রাগৈতিহাসিককালের বিভিন্ন কাহিনী বলতেন। অনেক রকমের ছবি আঁকা গুহাটি দেখে শিক্ষকের কথা মনে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে সাড়া পড়ে গেল চারদিকে। কিশোর চার বন্ধু বিশ্বের সমস্ত ইতিহাস সন্ধানী মানুষের চোখে সম্মানিত হয়ে গেল।
বই লিখতে হয় ভাষা দিয়ে। পৃথিবীতে এখন প্রায় সাত হাজারটি ভাষা আছে। কোন ভাষাই হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়নি। প্রতিটি ভাষা সময়-কালের প্রভাবে ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে, সংস্কৃত হয়েছে। ভাষা কেউ আবিষ্কার করেনি। বিভিন্ন কাজ আরো সহজ ও দ্রততম সময়ে করবার তাগিদে মানুষকে ভাষার উদ্ভাবন করতে হয়েছে। অঙ্গভঙ্গি দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করা হল মানুষের প্রাণিগত প্রবণতা। পৃথিবীর সব প্রাণীই তাদের অঙ্গভঙ্গি দিয়ে অন্যদের সামনে নিজের বক্তব্য, মনোভঙ্গি প্রকাশ করে। ভাষাহীন সময়ে মানুষ এর ব্যতিক্রম ছিল না। শিকার করা, অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করা, নিজের নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে মানুষ একটা দুইটা করে শব্দ ব্যবহার করা শুরু করে। এরপর কীভাবে মগজ বিবর্তনের সাথে সাথে ভাষারও বিকাশ হয় তার মনোজ্ঞ বর্ণনা রয়েছে "বইয়ের প্রাণ ভাষা" নামক তৃতীয় রচনাটিতে।
বিস্তারিত এখানে
0 মন্তব্যসমূহ