“উইলিয়াম. এম. ফাউলার জুনিয়র, জ্যাক টারস এন্ড কমোডোরস: দ্যা আমেরিকান নেভী, ১৭৮৩-১৮১৫ (বোস্টন: হাফটোন মিফিন কোং. ১৯৮৪, পৃষ্ঠা: xii, ৩১২, অলংকরণ, ম্যাপ)”
মাথায় রাখুন যে বই আলোচনা বইয়ের বিবরণী নয়। বইয়ের বিবরণ হল কেবল একটি বইয়ের সারাংশ মাত্র। বিপরীতে বই আলোচনা বইয়ের সমালোচনা বিশ্লেষণ করে।
একটি ভালো আলোচনার বিভিন্ন উপাদান
- লেখকের আলোচনার বিষয় ও প্রসঙ্গ চিহ্নিত করুন। তিনি কেন এই বই লিখেছেন? তিনি কী প্রমাণ করতে চান? বিষয়কে চিহ্নিত করতে পারাটাই যথেষ্ট নয়। লেখক যা বলতে চেয়েছেন আপনাকে তা উল্লেখ করতে হবে।
- কাজের পরিধিকে চিহ্নিত করুন। যেমন, কোন সময়কাল নিয়ে লিখিত; উপপ্রসঙ্গ কোনটি?
- লেখক তাঁর রচনাকে কীভাবে সাজিয়েছেন তা ব্যাখ্যা করুন। তিনি নিজেকে প্রমাণে কতটুকু সফল তা পরিমাপ করুন।
- সমাধান টানার জন্য লেখক কোন ধরণের প্রমাণাদি ব্যবহার করেছেন তার ব্যাখ্যা দিন। নির্দিষ্ট করে বলুন। তিনি মুখ্য ও গৌণ উৎস ব্যবহার করেছেন- এমন সরলভাবে বলবেন না। উৎসের প্রকারভেদ উল্লেখ করুন। মৌখিক সাক্ষাৎকার, নিজস্ব গবেষণা, পত্রিকার উপাদান, পরিসংখ্যান এভাবে সুনির্দিষ্ট করে বলুন।
- লেখকের রচনাভঙ্গিকে মূল্যায়ন করুন। যেমন- তিনি কী বর্ণনাত্মক, নাকি বিশ্লেষণাত্মক?
- যদি বইয়ের শিরোনাম থেকে বোঝা না যায় তাহলে বইয়ের সাধারণ প্রকৃতি বর্ণনা করুন। এটা কী কূটনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, সামরিক অথবা মনস্তাত্ত্বিক ইতিহাস?
- বইটি যদি কোন সিরিজের অংশ হয়, তাহলে তার উল্লেখ করুন।
- প্রাসঙ্গিক বিষয়ে যদি লেখকের কোন বিশেষ অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণ থাকে তাহলে তার উল্লেখ করে বিবরণ দিন।
- বইয়ের উদ্দিষ্ট পাঠক কারা তা উদঘাটন করুন।
কার্যপ্রণালি বা পদ্ধতির পরামর্শসমূহ
- সমস্ত বইটি সাবধানে পড়ুন। মাঝে মাঝে একটু থেমে লেখক কী করার চেষ্টা করছেন তা চিন্তা করুন। পরবর্তীতে সাহায্যে লাগতে পারে এমন কিছু লিখে রাখুন। প্রত্যেক অনুচ্ছেদের শেষে পড়া থামিয়ে লেখক যা বলতে চেয়েছেন তা কয়েক ছত্রে লিখে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
- আপনার নিজের আলোচনার প্রথম খসড়াটি লিখে ফেলুন। এই খসড়াটি দ্বিতীয়বার পুনর্পাঠ করার আগে এক বা দুই দিনের জন্য দূরে সরিয়ে রাখুন।
- এই পরামর্শগুলো দ্বিতীয়বার খসড়া লেখার আগে আর একবার বিবেচনা করুন।
- কোথাও পাঠাবার আগে আপনার পাণ্ডুলিপি সতর্কতার সাথে সম্পাদনা করুন।
বিস্তারিত
0 মন্তব্যসমূহ