কাস্ত্রো নামটি আকের দুনিয়ায় কেবল বিতর্ক তৈরি করে না; দেশে দেশে অগুনতি মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তোলে আগ্রহ, সাহস, বিদ্রোহের চেতনা, আত্মমর্যাদাবোধ। মার খাওয়া, অবহেলিত, পদদলিত কোটি কোটি মানুষের কাছে ফিদেল কাস্ত্রো অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রতীক, সততা-আদর্শনিষ্ঠা, মানবপ্রেম- আত্মসম্মানের প্রতীক, মানুষের অপার সম্ভাবনা-সৃষ্টিশীলতার ওপর আস্থার প্রতীক। একটি ছোট্ট দ্বীপ-দেশ মানব ইতিহাসে এ যাবতকালের দীর্ঘতম অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে অবর্ণনীয় বাধার মধ্যে আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, মানুষের জীবনকে শান্তিতে-সমৃদ্ধিতে, সৌভ্রাতৃত্বে পুষ্পিত করে তোলার অক্লান্ত প্রয়াস চালায়; আর সে দেশটির প্রতীক হয়ে কাস্ত্রো পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে জাগিয়ে তোলেন আশা-- জীবন একদিন মানবীয় হবে, কষ্ট-ক্লেশের যাত্রা শেষ হবে।
কেমন ছিল এই মানুষটির, কাস্ত্রোর ছেলেবেলা, কৈশোর? লেখাপড়া শেখার পালাটি কেমন ছিল তার? কৈশোরে, তারুণ্যে ধর্মশিক্ষা কেমনভাবে দেয়া হয়েছিল তাকে? তার বাবা-মা পরিবার, ছেলেবেলার ঘরদোর, শিক্ষকরা, এসবই বা কেমন ছিল? তার বিদ্রোহের চেতনা, প্রশ্ন করার বোধ, সেসব এল কীভাবে, কোত্থেকে? একই সাথে এত নিন্দা আর ভালোবাসা নিয়ে পৃথিবীর পথচলা এ মানুষটির যৌবনে বিদ্রোহের দিনগুলো কীভাবে এসেছিল? এ মানুষটিই খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠে যেতো, প্লাবিত পার্বত্য খর নদী সাঁতরে পেরিয়ে যেতো। শৈশবেই তার প্রথম বিদ্রোহ।
কাস্ট্রোর জীবনের এরকম নানা ঘটনা জানতে আগ্রহ আছে অসংখ্য মানুষের। এসব প্রশ্নের কিছু হলেও জবাব মিলবে এ বইতে, কাস্ত্রোর নিজের কথায়, তার সাক্ষাৎকারে, তার বক্তৃতার এ সংকলনে।
আরও পড়ুন
0 মন্তব্যসমূহ